সত্তরের দশকে French Research Institute for Exploitation of the Sea -এর বিজ্ঞানীরা প্রথম বায়োফ্লক প্রযুক্তির ধারণা প্রদান করেন। Steven Serfling 1986-94 সময়কালে Solar Aquafarms নামক তেলাপিয়া খামারে বাণিজ্যিকভাবে বায়োফ্লক প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। সে সময় এ প্রযুক্তির নাম ছিল Organic Detrital Algae Soup (ODAS) System। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে ইসরাইলের Technion University ও আমেরিকার Waddell Mariculture Center (WMC) থেকে আলাদাভাবে দু’দল বিজ্ঞানী যথাক্রমে তেলাপিয়া ও চিংড়িচাষে বায়োফ্লক প্রযুক্তি প্রয়োগের ওপর বেশ কিছু গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। ইসরাইলের Technion University-এর গবেষণা দলটির নেতৃত্ব দেন Yoram Avnemelech। তাঁকে বায়োফ্লক প্রযুক্তির পথিকৃত মনে করা হয়। গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে বায়োফ্লক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে সফলভাবে চিংড়ির প্রথম বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয় মধ্য আমেরিকার দেশ বেলিজ -এর বেলিজ একোয়াকালচার ফার্মে। পরবর্তীতে ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বায়োফ্লক প্রযুক্তি জনপ্রিয়তা লাভ করে। বর্তমানে মৎস্য অধিদপ্তরের কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশেও বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছচাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে।